ইউনিয়নের ইতিহাস
ধানখোলানাম করণের তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই তবে লোক মুখে শুনা যায় এখানে ধানবেশী উৎপাদন করা হতো বলে নাম হয় ধানখোলা। ধানখোলা ইউনিয়নের একটি স্মরনীয়কাহিনী আজো সবার মুখে মুখে রয়েছে। ধানখোলা গ্রামের আলফাজ মিয়া স্বদেশী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন। ১৯৩০ সালের দিকে গাংনী বাজারে বৃটিশ থেকেআমদানীকৃত ধুতি কাপড় একজন ক্রেতার কাছ থেকে জোরপৃবক ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেআগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এই কাজের নেতৃত্ব দেন আলফাজ মিয়া। আগুনে পুড়ে ছায় হবারপর এই সংবাদ পৌছে যায় থানায়। গাংনী থানার দারোগা ছিলেন নওজেসআহাম্মদ।বৃটিশ কাপড় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার আপরাধে আলফাজ মিয়াকে দারোগানওজেস আহাম্মদ গ্রেফতার করতে যান। দারোগাকে বেদম মারপিট করে ,পরে তিনিগ্রেফতার হন। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোটে বিচারে আলফাজ মিয়ার এক মাস জেল হয়।কিন্তু ব্যারিষ্টার আজিজুল হক আলফাজ মিয়ার পউকালতি করে তার জেল মওকুফ করেছিলেন। আলফাজ মিয়ার সাথে স্বদেশী আন্দোলনের কর্মী ছিলেন সানঘাট গ্রামেরআছিরউদ্দীন আহামেদ গাড়াডোব গ্রামের শিবকালী লাহিড়ি, মনি স্যান্নাল, বিকেনবোত্র, বিভুতি বাবু সহ আরও অনেকে। তাছাড়াও সে সময় বিটিশ বিরোধিআন্দোলন ধানখোলা গ্রামের আলতাব হোসেন মিয়া ও চিৎলা গ্রামের এ কে এম সামসুলইসলাম মিয়া জোর আন্দোলনে গড়ে তলেন। জালশুকা গ্রামে ১৮৫৯ সালে নীল কুঠিস্থাপিত হয় ,সেই বিলুপ্ত নীল কুঠি আজও শোনা যায় রক্তে রন্জিত চাষিদের কর“নআর্ত চিৎকার। অত্র ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে ছেওটিয়া নদী প্রবাহিত হইয়াছে এক সময়এই নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো মালামাল পরিবহনের জন্য। পানি পথ সে সময়উন্নত ছিলো বলে ধানখোলায় একটি বড় বাজার গড়ে উঠে, পরবতিতে বাজারটি ভেঙ্গেযায়।মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ১৬ কিঃমিঃ এবং গাংনী উপজেলা থেকে ৫ কিঃমিঃ দুরত্বে ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। উত্তরে গাংনী পৌরসভা ও সাহারবাটি ইউনিয়ন,দক্ষিণে পিরোজপুর ইউনিয়ন,পূর্বে আসমানখালী এবং পশ্চিমে আমঝুপি ইউনিয়ন অবস্থিত।
ছবি
সংযুক্তি
সংযুক্তি (একাধিক)